আমরা মনে করি, ‘কেবলমাত্র মার্কসবাদ-লেনিনবাদই শ্রমজীবী মানুষকে মানুষ কর্তৃক মানুষকে শোষণের অবসান ঘটাবার এবং তাদের পূর্ণ মুক্তির পথ দেখায়।’
আমাদের পার্টি কর্মসূচিতে বলা হয়েছে,’ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) জনগণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তার বৈপ্লবিক কর্মসূচি ভারতের জনগণের সামনে উপস্থিত করছে। জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্ত সমাজের দিকে অগ্রগতির রাস্তা খুলে দেবে। ভারতীয় জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে এই বিপ্লব পরিচালনা করতে হবে শ্রমিক শ্রেণিকে, কৃষক সমাজের সঙ্গে মৈত্রীর ভিত্তিতে। এই লক্ষ্য অর্জনে শ্রমিক শ্রেণির অগ্রণী বাহিনী হিসাবে কমিউনিস্ট পার্টিকে সাম্রাজ্যবাদ,একচেটিয়া পুঁজিবাদ ও জমিদারতন্ত্রের বিরুদ্ধে জঙ্গী সংগ্রাম পরিচালনা করতে হবে। আমাদের দেশের সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে মার্কসবাদ-লেনিনবাদের নীতি প্রয়োগ করে পার্টিকে রাজনৈতিক মতাদর্শগত অর্থনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমস্ত ফ্রন্টে দীর্ঘস্থায়ী সংগ্রাম পরিচালনা করতে হবে, যতক্ষণ না বিজয় অর্জিত হয়(পাটি কর্মসূচি ৮.১)।’এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমরা আমাদের সমস্ত রাজনৈতিক-সাংগঠনিক কার্যকলাপ পরিচালনা করতে চাই। আমাদের কর্মসূচিতে আরও বলা হয়েছে,’আমাদের জনগণের সংগ্রামী ঐতিহ্য ও আমাদের সভ্যতা সংস্কৃতির যা কিছু সুন্দর ও মূল্যবান তাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)। সিপিআই(এম) দেশপ্রেমকে সর্বহারার আন্তর্জাতিকতাবাদের সঙ্গে যুক্ত করে। সমস্ত কাজ ও সংগ্রামে পার্টি মার্কসবাদ-লেনিনবাদের বৈজ্ঞানিক দর্শন ও নীতির দ্বারা পরিচালিত হয়, যা একমাত্র পূর্ণাঙ্গ মুক্তির সঠিক নিশানা দেয়। মেহনতি জনগণের সবচেয়ে অগ্রণী, সবচেয়ে সক্রিয় ও সবচেয়ে নিঃস্বার্থ সন্তানদের পার্টি নিজের বাহিনীতে ঐক্যবদ্ধ করে এবং তাদের আন্তর্জাতিকতাবাদী হিসেবে গড়ে তোলার নিরন্তর প্রয়াস চালায়। গণতান্ত্রিক বিকাশ ধরার জন্য সংগ্রামে সমস্ত দেশে প্রেমিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ, কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করার জন্য পরাক্রান্ত এক জনগণতান্ত্রিক ফ্রন্ট গঠনের মহান কর্তব্যে সমস্ত শক্তি ও সামর্থ্যকে নিয়োগ করছে(পাটি কর্মসূচি ৮.৭)।’ এই কথাগুলি মনে রেখে মতাদর্শ, রাজনীতি, সংগ্রাম ও সংগঠন সমস্ত দিক থেকেই আমাদের অভিযান চালানো দরকার বলে মনে করি। আমরা আজকের দুনিয়া,দেশ ও রাজ্যের সুনির্দিষ্ট প্রেক্ষিতে আমাদের জেলার সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতিকে অনুশীলন করতে চাই। বুঝতে চাই নতুন পরিস্থিতির নতুন বৈশিষ্ট্যকে।পেশির জোরে নয়, গলার জোরে নয়, বিজ্ঞাপনের জোরে নয়, মিথ্যাকে অবলম্বন করে নয়, যুক্তি-তর্ক ও বিজ্ঞানের সাহায্যে আমরা সত্যকে যথাযথভাবে অনুধাবন করতে চাই। জনগণের কাছ থেকে শিখতে চাই। প্রকৃত সত্যকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। আজকের বিপন্ন পরিস্থিতিকে পাল্টাতে চাই।